খিলাফাহর বিরুদ্ধে আরোপিত তথাকথিত “ইসলামী” আপত্তিসমূহের অপনোদন

কুফফাররা, খিলাফাহ তথা ইসলামী শাসনব্যবস্থার (কিংবা, যে কোন ধরনের ইসলামী অনুশাসনের) প্রতি চরম ঘৃণা পোষণ করে; এটা অনুধাবন করতে খুব বেশি চিন্তার প্রয়োজন হয় না। দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী আমোদ-প্রমোদের নেশা তাদেরকে এতটাই অন্ধ বানিয়ে রেখেছে যে, তারা বুঝতেই পারে না, কিভাবে উপাস্যহীন-ধর্মহীন-বস্তুবাদী সিস্টেমে বসবাস, কেবলমাত্র তাদের নিজেদের ধ্বংসকেই ত্বরান্বিত করছে।

যাইহোক, বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যেতে হয় তখন, যখন কিনা কতিপয় মুসলিম, খিলাফাহর ধারনা নিয়ে স্রেফ আলোচনা করার প্রতিও মারাত্মক বিদ্বেষ প্রদর্শন করে! “খিলাফাহ” শব্দটা শুনলেই যেন তাদের মধ্যে এলার্জিক প্রতিক্রিয়ার মতো চুলকানি শুরু হয়ে যায়। ধ্বংসাত্মক সেক্যুলার সিস্টেমে বসবাস করার মধ্যে তারা এতটাই তৃপ্তি খুঁজে পেয়েছে যে, খিলাফাহ ব্যবস্থার বিপরীতে ইসলামী লেবাসে বিভিন্ন ওজর-আপত্তি পেশ করে।

এরই প্রেক্ষিতে, আলোচ্য লিখাতে খিলাফাহ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আরোপিত কতিপয় “ইসলামী” আপত্তিসমূহ উল্লেখ করা হবে এবং সেই সাথে এসব আপত্তির বিপরীতে সংক্ষিপ্ত জবাব তুলে ধরা হবে ইন-শা-আল্লাহ্‌।

খিলাফতের প্রত্যাবর্তন কামনা করা কি আদর্শবাদ-কে ভুল জায়গায় স্থাপন করে?

আপত্তি নং ১ : “খিলাফাহ নিয়ে না ভেবে, প্রথমে আমাদের ‘আকীদাহ’ (বিশ্বাসসমূহকে) সংশোধন করতে হবে।”

খিলাফাহ ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলতে গেলে, কতিপয় মুসলিমের তরফ থেকে প্রথমেই যে আপত্তিটা আসে সেটা হলো, “বেশিরভাগ মুসলিমদের আকীদাহই যেহেতু ত্রুটিপূর্ণ, সেহেতু খিলাফাহ নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করার পূর্বে আকীদাহ সংশোধন করাটা অধিক জরুরী। কেননা, সত্যিকারের অর্থবহ বিজয়ের পূর্বশর্তই হলো সঠিক ইসলামী আকীদাহ।”

সঠিক ইসলামী আকীদাহ গ্রহণ করা ও মেনে চলা নিঃসন্দেহে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এ সত্যকে কোনভাবেই অস্বীকার কিংবা উপেক্ষা করা যাবে না। কিন্তু, যখন কিনা- কোনটি সঠিক আকীদাহ সেটি নির্ধারণ করে দেয়া এবং মানুষের মধ্যে সেই সঠিক আকীদাহ প্রচার করার জন্য কোন ইসলামী রাষ্ট্র বা, শাসনব্যবস্থাই বিদ্যমান নেই, তখন সকল মানুষ সঠিক আকীদাহ অনুসরণ করবে সে অপেক্ষায় থাকা কোনো বাস্তবসম্মত চিন্তা হতে পারে না। এ ধরনের চিন্তার মানে এটাই দাঁড়ায় যে– “যদি কখনও উপযুক্ত সময় আসে, অর্থাৎ সবার আকীদা ঠিক হয়ে যায়, তাহলে ইসলামী শাসনব্যবস্থা কায়েম করা যাবে। সে সময় আসার আগ পর্যন্ত, যে যার ইচ্ছামতো স্বাধীনভাবে বিকৃত আকীদাহ কিংবা ভ্রান্ত মতবাদ অনুসরণ ও প্রচার করতে থাকুক।”

সর্বোপরি, বিশ্বে এখন সেক্যুলার শাসনব্যবস্থা কায়েম রয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত না কেউ, বিদ্যমান শাসনব্যবস্থা ও ক্ষমতাসীনদের স্বার্থের প্রতি হুমকিস্বরূপ না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সে যা ইচ্ছা বিশ্বাস ও প্রচার করতে পারে। সেক্যুলার সিস্টেমের ছত্রছায়ায়, সঠিক ইসলামী আকীদাহসমূহকে বিকৃত করা হয় এবং মানুষের মাঝে সেই বিকৃত আকীদাহ ও ভ্রান্ত মতবাদসমূহ প্রচার করা হয়। এ কারণেই, সেক্যুলার শাসনব্যবস্থার অধীনে বিকৃত আকীদাহ ও ভ্রান্ত বিশ্বাসসমূহ দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে। খেয়াল করে দেখুন- অনেক দা’য়ী যারা কিনা পূর্বে মূলধারার ইসলামের অনুসারী ছিলেন, তারা এখন লিবারেল জীবনাদর্শ গ্রহণ করে, “আলোকপ্রাপ্ত” হয়েছেন! তথাকথিত প্রগতিশীল মুসলিম ব্যক্তিবর্গ এবং পশ্চিমা মুসলিম কমিউনিটিতে তাদের প্রভাব সম্পর্কে ভেবে দেখুন। চিন্তা করে দেখুন- পথভ্রষ্ট ইমাম ও নামধারী ইসলামী স্কলাররা কিভাবে এত জনপ্রিয়তা অর্জন করলো? কিভাবে তারা বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হলো?

এর চাইতেও উদ্বেগজনক এবং অকাট্য ব্যাপার হলো, সেক্যুলার শাসনব্যবস্থায় আইন তৈরি করে সঠিক আকীদাহ ও বিশ্বাসকে অবদমিত করা হয়। সঠিক ইসলামী আকীদাহর এমন অনেক বিষয় আছে, যেগুলো সেক্যুলার শাসনব্যবস্থায় আইনবিরুদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হয়। উদাহরণস্বরূপ : ফ্রান্সে, অনেক মাসজিদের ইমামদেরকে কারাগারে প্রেরণ কিংবা দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে, কেবলমাত্র ‘পরিবার ও সমাজে নারী-পুরুষদের পৃথক ভূমিকা’ ও ‘নারীদের ইজ্জত-আব্রু রক্ষা’ সংক্রান্ত কুর’আনের আয়াত ও হাদীস উদ্ধৃত করার জন্য। অধিকাংশ পশ্চিমা দেশে আকীদাহর অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রায়শই ঝামেলা পোহাতে হয়। উদাহরণস্বরূপ : দাজ্জাল সম্পর্কিত বিশ্বাসসমূহ (ভাবুন, কারা তাকে অনুসরণ করবে?); মুসলিম ও কাফিরদের মধ্যে সংঘটিতব্য যুদ্ধের ভবিষ্যদ্বাণী সম্পর্কিত হাদীসসমূহ (ভাবুন, কারা পালিয়ে গিয়ে গাছ ও পাথরের আড়ালে লুকোবে?); পরকালে শহীদদের মর্যাদা সম্পর্কে; জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসী যে নারীরা হবে এ সম্পর্কে; নবী-রাসূলদের (আলাইহিমুস সালাম) বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে (যেমন লুত আলাইহিস সালামের ঘটনা); ইত্যাদি…

যখন কিনা গোটা সিস্টেমই এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে, আকীদার কোন অংশ সিস্টেমের বিপরীতে গেলে, আইন তৈরি ও প্রয়োগ করার মাধ্যমে আকীদার সেই অংশকে বাতিল করা হবে, তখন কিভাবে সেই সিস্টেমের মধ্যে থেকে সঠিক আকীদাহ প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব? তদুপরি, নিয়ত পরিবর্তনশীল সেক্যুলার আইনি কাঠামোতে, আকীদাহর যে অংশসমূহ মেনে চলতে আজকে কোন বাধা দেয়া হচ্ছে না, হয়তো আগামীকালকেই সে অংশসমূহকে না মানতে বাধ্য করা হবে। আর এভাবেই, মুসলিমদেরকে ক্রমান্বয়ে সঠিক আকীদাহ ও বিশ্বাস থেকে দূরে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে।

আকীদাহ বিচ্যুতির এই ধ্বংসাত্মক প্রবণতা থেকে মুসলিমদের রক্ষা করার সবচাইতে কার্যকর ব্যবস্থা হলো ‘ইসলামী খিলাফাহ’, যা নিরাপত্তামূলক ঢালের মতো, কাফিরদের চক্রান্ত থেকে মুসলিমদের ঈমান-আকীদা রক্ষা করবে।

RELATED: খিলাফতের যৌক্তিক অপরিহার্যতা

আপত্তি নং ২ : “খিলাফাহ নিয়ে চিন্তা বাদ দিয়ে, আমাদের উচিত নিজেদের নেক আমলসমূহের প্রতি মনোযোগী হওয়া।”

খিলাফাহর আলোচনা আসলে, কিছু লোক এই বলে আপত্তি তুলে যে, “আমাদের নিজ নিজ কাজের প্রতি গুরুত্বারোপ করা উচিত, খেয়াল রাখা উচিত যাতে আমরা আল্লাহ্‌ তা’য়ালাকে খুশি করার সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করি।” এই দাবির সারমর্ম হলো, আমরা যাতে সঠিকভাবে সালাত আদায় করি, যথাযথভাবে সাওম পালন করি, সঠিকভাবে অযু-গোসল করি, ইত্যাদি। যখন আমরা এ সকল আমলসমূহ যথাযথভাবে পালন করতে সক্ষম হবো, তখন আমরা খিলাফাহ কায়েম করার আলোচনা করতে পারবো; তার পূর্বে নয়।

স্পষ্টতার খাতিরে আবারও বলতে হচ্ছে, ইসলামে নেক আমলসমূহের গুরুত্বের ব্যাপারে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। কিন্তু, এখানেও সেই আপত্তি নং-১ এর মতই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। মুসলিম হিসেবে যে কাজগুলোকে আমরা অবশ্য পালনীয় কিংবা ভালো কাজ হিসেবে বিবেচনা করি, দাজ্জালিক সেক্যুলার কুফর সিস্টেমের কাছে সেই একই কাজগুলো মন্দ হিসেবে বিবেচিত হয়। ফলস্বরূপ, মুসলিম হিসেবে আমাদের অবশ্য পালনীয় ইবাদতসমূহ কিংবা আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্বসমূহ পালন করতে গিয়ে আমরা ব্যাপক বাধার সম্মুখীন হই। এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে ইবাদতসমূহ চর্চা বা, পালন করা রীতিমতো অসম্ভব হয়ে পড়ে। উদাহরণস্বরূপ, দ্রুত বিবাহের কথা উল্লেখ করা যায়। রাসূল (ﷺ) আমাদেরকে উপযুক্ত বয়স হয়ে যাবার পর যথাসম্ভব দ্রুত বিবাহ করতে উৎসাহ দিয়েছেন। কিন্তু প্রাচ্যের মুসলিমরা দ্রুত বিবাহ করলে, তার জন্য প্রচুর সমালোচনার শিকার হয়; দ্রুত বিবাহ করা যেনো, ন্যাক্কারজনক কোনো কাজ! এমনকি অনেক সেক্যুলার মুসলিম দেশে, দ্রুত বিবাহ করাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং আইন প্রণয়ন করে দ্রুত বিবাহ করাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পশ্চিমা মুসলিম কমিউনিটির মধ্যে, এ চর্চাটা বহু আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

এমনকি, টয়লেট ব্যবহার (ইস্তিঞ্জা) করার পর পানি দ্বারা পরিষ্কার হওয়ার মত অত্যাবশ্যকীয় কাজকে পর্যন্ত সেক্যুলার প্রতিষ্ঠানসমূহ সমস্যার চোখে দেখে!

কুর’আনুল কারীমে এমন বহু আদেশ-নিষেধ এবং আইন-কানুন রয়েছে, খিলাফাহ ব্যতীত সামগ্রিকভাবে যেগুলো পালন করা প্রায় অসম্ভব। কিভাবে বিবাহের মাধ্যমে একটি সাচ্ছন্দ্যময় ইসলামী পরিবার গঠন করা সম্ভব, যখন কিনা তা সেক্যুলার সিস্টেমের দ্বারা নানামুখী আক্রমণের শিকার হতে থাকে? কিভাবে আপনি আপনার সন্তানদেরকে ধার্মিক ও ন্যায়নিষ্ঠ হিসেবে গড়ে তুলবেন, যখন কিনা সমগ্র মিডিয়া এমনকি শিক্ষাব্যবস্থার লক্ষ্যই হলো তাদেরকে ধর্মহীন নাস্তিক ও সমকামী (কিংবা LGBTQXYZ+++ এর অন্য কোন ক্যাটাগরি) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা? আপনি কিভাবে আল্লাহ্‌ রাব্বুল ইযযা কর্তৃক আদিষ্ট হুদুদসমূহ কায়েম করবেন, যখন কিনা সেক্যুলার সমাজের দৃষ্টিতে তা ‘অমানবিক’ ও ‘পশ্চাদপদতা’ হিসেবে বিবেচিত? কিভাবে আপনি হালাল রিযিক উপার্জন করবেন, যখন কিনা অর্থনীতির প্রতিটি স্তর সুদের সাথে সম্পৃক্ত? যখন আপনার কষ্টের উপার্জন থেকে ট্যাক্স কেটে নিয়ে তা বিভিন্ন অনৈসলামীক ও অন্যায় কাজে ব্যবহার করা হয়, তখন আপনি কিভাবে তা আটকাবেন? এমনকি সালাত, সাওম, কুর’আন তিলাওয়াতের মত ইসলামের একদম মৌলিক আমলসমূহও অনেক সেক্যুলার দেশে আইনত নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত।

সুতরাং বলা যায়- ইসলাম নির্ধারিত সৎ কাজসমূহ অব্যাহত রাখা এবং অসৎ কাজসমূহ থেকে দূরে থাকার জন্য, একমাত্র সামঞ্জস্যপূর্ণ উপায় হলো ইসলামী ব্যবস্থা।

সমাজে, সৎ ও ন্যায়নিষ্ঠ কাজসমূহকে প্রতিষ্ঠা করা এবং অসৎ ও অন্যায় কাজসমূহকে বিনাশ করার জন্য একমাত্র কার্যকর পদ্ধতি হলো ইসলামী খিলাফাহর নিরাপত্তামূলক ঢাল।

RELATED: শিয়াবাদের অনিবার্য রাজনৈতিক ব্যার্থতা: ইরানকে ধর্মনিরপেক্ষকরণ

আপত্তি নং ৩ : “অমুক দল খিলাফাহর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে এবং তারা তো বিভ্রান্ত!”

এটা আসলে কোন আপত্তিই হতেই পারে না, যৌক্তিক আপত্তি তো নয়ই। রাসূল ﷺ-এর ভবিষ্যদ্বানী অনুযায়ী, সাহাবা রাদিয়াল্লাহু আনহুদের সময়ে খারেজিদের যে মূল ধারাটির উদ্ভব হয়েছিলো, তারা নিয়মিত কুর’আন তিলাওয়াত করতো। উক্ত উদ্ভট যুক্তি অনুসারে, যেহেতু একটি পথভ্রষ্ট দল নিয়মিত কুর’আন তিলাওয়াত করতো, তাহলে কি আমরাও কুরআন তিলাওয়াত করা ছেড়ে দিব?

খিলাফাহ কায়েম করা এবং আল্লাহ্‌ প্রদত্ত আইন-কানুন দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালনা করা ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটা প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ উভয়ভাবেই, কুর’আন থেকে প্রমাণিত। এ ব্যাপারে স্বয়ং রাসূল (ﷺ) আলোচনা করেছেন। পূর্বেকার যুগের এবং সমসাময়িক বহু হকপন্থী উলামায়ে কেরামগণ ইহার গুরুত্বের ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। ১৯২৪ সালে উসমানী খিলাফাহ-র পতন ঘটার অব্যবহিত পরেই, আলিমগণ উম্মাহর উপর এর ফলে যে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব এসে পড়বে, সে আশঙ্কা ব্যক্ত করে খিলাফাহ ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রতি দৃঢ়ভাবে আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ কারনে তখন বহু আলিমগণকে কারাগারে বন্দী করা হয়েছিলো, তাদের উপর নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানো হয়েছিলো এবং নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিলো। পরিতাপের বিষয় হলো, আমরা মুসলিমরা এখন নিজেদের ব্যক্তিগত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী ভোগ-বিলাস বিঘ্নিত হওয়ার ভয়ে, খিলাফাহর ধারনা থেকে পালিয়ে বেড়ানোর জন্য বিভিন্ন রকম অজুহাত দাড় করাই। এ ব্যাপারটাও খিলাফাহ হারানোর একটি অন্যতম অশুভ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং খিলাফাহর সুমহান তাৎপর্য প্রতিষ্ঠার স্বপক্ষে একটি জোরালো প্রমাণ।

RELATED: সুন্নী মুসলিমরা কবে ঐক্যবদ্ধ হবে?

MuslimSkeptic Needs Your Support!
Subscribe
Notify of
guest

0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments